গঙ্গাচড়ায় আলতাবের স্বপ্ন পুরন করলেন ইউএনও
মোর স্বপ্ন আইজ ইউএনও স্যার পূরণ করিল
গঙ্গাচড়া( রংপুর)প্রতিনিধি ♦ আলতাব হোসেন (৫৮) বাড়ি গংগাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামে তিস্তা ডানতীর রক্ষা বাঁধের ধারে খাস জমিতে। এলাকার সকল শ্রেনি পেশার লোকজনের কাছে তিনি রিকশা আলতাব নামেই পরিচত। প্রায় ৪০ বছর ধরে পা চালিত রিকশা চালিয়ে ভুমিহীন আলতাব জীবীকা নির্বাহ করে আসছেন । বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পা চালিত রিকশা- ভ্যান কোথাও চোখে না পড়লেও আলতাব এখনো পা চালিত রিকশা চালিয়ে সংসার চালিয়ে অাসছেন। স্বপ্ন থাকলেও তিনি অভাবের কারণে একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যান ক্রয় করতে পারছিলেন না। এ বিষয়টি আলতাবের প্রতিবেশী গণমাধ্যম কর্মী নির্মল রায় ইউএনও তাসলীমা বেগমকে অবগত করলে তিনি নিজ অর্থে প্রায় ৫০ হাজার টাকায় একটি নতুন ব্যাটারী চালিত ভ্যান ক্রয় করে আলতাবের হাতে তুলে দেন।
নতুন ভ্যান পেয়ে আনন্দিত আলতাব হোসেন বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরি পা চালিত রিকশা চালাং। ৩ ছেলে থাকলেও তারা যে কামাই করে তাতে তাদের সংসারই চলে না। তাই এ্যালাও পা টানা রিকশা চালিয়ে সংসার চালাং। কিন্তু আগের মতোন আর এ রিকশায় কামাই হয় না। বয়স হওয়ায় জোরে রিকশা চলবার পাং না। তাই যাত্রীরা মোর রিকশায় চরতে চায় না। শুধু পরিচিতরা দয়া করে মোর রিকশাত চরে। তাতে ৮০ - ১০০ টাকা কামাই হয়। এতে কোন রকমে ভর্তা ভাত জোটে। অনেক বচ্ছর ধরে স্বপ্ন দেখং ব্যাটারী চালিত ভ্যান কিনিম কিন্তু টাকার অভাবে কিনবার পাং না। অনেক লোকক কচুং কাও সহোযোগিতা করে নাই। এ্যালা ইউএনও স্যার ব্যাটারী চালিত ভ্যান কিনি দিয়া মোর স্বপ্ন পুরন করছে। তাতে কামাই বেশী হইবে মোর সংসারটাও ভালো চলবে। এ্যামোন ইউএনও স্যারের মতো ভালো মানুষ দুনিয়ায় কম আছে আল্লাহ স্যারকে সারা জীবন ভালো রাখুক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের এক কর্মচারী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলন, ইউএনও স্যার নিজ অর্থে বেশ কিছু গরীব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনার খরচসহ হত দরিদ্রদের সহোযোগিতা করে আসছেন। তিনি প্রচার বিমুখ হওয়ায় তা প্রকাশ পায় না। গঙ্গাচড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ নেতা সুরেশ রায় বলেন, অনেক ইউএনও স্যারকে দেখেছি কিন্তু বর্তমান ইউএনও তাসলীমা বেগম স্যারের মতো সৎ ও কর্মঠ দেখিনি। তিনি ইতি মধ্যেই সৎ অফিসার হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন।