রংপুরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে, বাবার গলায় মেয়ের ছুরিকাঘাত

পরে বাবার করা মামলায় দুই মেয়ে জেলা হাজতে

রংপুরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে,  বাবার গলায় মেয়ের ছুরিকাঘাত

স্টাফ রিপোর্টার ♦ মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ায়, বিদায় অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তা পিতার গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছে ওই কন্যা। এসময় পিতার চিৎকারে উপস্থিতিরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বরযাত্রীর গাড়িতে করে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিয়ের আসর থেকে কন্যাকে আটক করে। এ ঘটনায় রংপুর পীরগাছা থানায় অভিযুক্তসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হলে থানা পুলিশ ওই কর্মকর্তার দুই কন্যাকে গ্রেফতার করে। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালুক ইসাদ দারারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীরা বলছেন, এ কেমন মেয়ে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হকের বড় মেয়ে কলেজ পড়–য়া ফারজানা আক্তার (২২) এর সাথে তিনমাস আগে নৌবাহিনীতে কর্মরত এক যুবকের সাথে বিয়ের রেজিষ্ট্রি হয়। গত শুক্রবার ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিদায়ের অনুষ্ঠান করা হয়। রাতে বরযাত্রী এলে বিয়ে পড়ানোর সময় মৌলভী কন্যার কবুল সম্মতি নেয়ার জন্য উকিলসহ কয়েকজন নিয়ে কনের কক্ষে যায়। এসময় কনে ফারজানা তার বাবার সাথে কথা বলে সম্মতি দেবে বলে জানায়। তখন কক্ষ থেকে সবাই বেরিয়ে আসলে, ফারজানা তার বাবার সাথে একান্তে কথা বলার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে। এসময়তার পিতা ফজল হকের চিৎকারে বাইরে থাকা মানুষজন কক্ষে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হকের অবস্থা আশঙ্কাকজনক বলে কর্মরত চিকিৎসক জানান। এ বিষয়ে পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মেয়ের ইচ্ছার বিরদ্ধে বিয়ে দেয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আহত পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হক নিজেই বাদী হয়ে দুই মেয়েসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ফারজানা আক্তার ও তার ছোট বোন ফারহানা আক্তারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।