রংপুরে পুলিশের বাধায় কৃষক সমিতির সমাবেশ পন্ড

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির তিস্তা কৃষক সমাবেশ। ফলে সমাবেশ করতে না পেরে মিছিল বের করে নগরীর শাপলা চত্ত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ করেন কৃষক নেতারা। পুলিশের এমন আচারণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ধ্বংস করবে উল্লেখ করে কৃষক নেতারা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। এদিকে পুলিশ বলছে নিয়ম না মেনে সমাবেশের আয়োজন করেছে কৃষক সমিতি। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় নগরীর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি।

কৃষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সারাবছর তিস্তা নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা, ভারতের সাথে দ্রæত পানি চুক্তি করে ন্যায্য হিস্যা আদায়, তিস্তাসহ অন্যান্য নদী, খাল-বিল, জলাশয় পরিকল্পিতভাবে খনন করে তলদেশের নাব্যতা বজায় রাখা, নদী গবেষকদের পরামর্শের ভিত্তিতে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া, তিস্তার দুই পাড়ে মানুষের যাতায়াত ও কৃষিপণ্য হাট-বাজারে নিতে সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন, নদী ভাঙ্গনে কৃষকের ফসল, গবাদিপশু, ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য পরিকল্পিত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবীতে ডাকা এ সমাবেশে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার কৃষক অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সকাল ১১টা থেকে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকরা আসতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় কৃষক সমিতির নেতারা পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়।

পরে তারা সমাবেশ না করে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে শ্লোগানের মাধ্যমে তাদের দাবীগুলো তুলে ধরেন। বিক্ষোভ মিছিলটি টাউন হল গেট থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্ত¡র এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভাগের ৮ জেলার ৫ শতাধিক কৃষক অংশ নেন। বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, কৃষকরা এখানে সরকার পরিবর্তন করতে আসে নাই। তারা ন্যায্য অধিকারের কথা বলতে এসেছিল। সেটাতেও আজ পুলিশ বাঁধা দিয়েছে অনুমতির দোহাই দিয়ে। এটি খুবই দূর্ভাগ্যজনক। আমরা মনে করি, এ ধরনের আচরণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ধ্বংস করবে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান বলেন, সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের অনুমতি লাগে সেটি তাদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কোন প্রকার অনুমতি নেয়নি। জনস্বার্থে সমাবেশ বন্ধ করা হয়েছে।