দালালী করে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না: মেয়র মোস্তফা

জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি

দালালী করে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না: মেয়র মোস্তফা

স্টাফ রিপোর্টার ♦ সরকারের দালালী করে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। জাতীয় পার্টির মধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে। অবৈধভাবে রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। যিনি হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। তিনি কিভাবে দল চালাবেন। রওশন চেয়ারম্যান হলে দলের অস্তিস্ত থাকবে না। তিনি বলেন, দালালি করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রকারীরা দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়।

 মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এসব কথা বলেন। সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে জাপার দূর্গ বলে খ্যাত রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীরা। শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। সর্বত্রই চলছে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। রংপুর মহানগর সভাপতি মেয়র মোস্তফা আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের কিছু সুবিধাবাদী-সুযোগ সন্ধানীরা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বিগত সময়ে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচনে যাবেন না, অথচ রওশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছেন। তার কর্মকান্ডের কারণে দল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আবার তিনি নিজেকে গঠনতন্ত্র বহির্ভুতভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। কেউ স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হতে পারে না, আইনে তা টিকবে না। আমি তার এ সিদ্ধান্তকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির গণতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের দু’জনই আলাদা প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী জিএম কাদেরের দেওয়া প্রার্থীকে প্রতীকি দিয়ে বৈধতা ঘোষণা করেছেন। সারাদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। জেলা ও মহানগরের একাধিক নেতাকর্মীরা বহিষ্কৃত এক নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন, তার নিজস্ব কোনও অস্তিত্ব নেই। তিনি ষড়যন্ত্র দালালির ওপর ভর করে নির্বাচন করতে চান। অথচ তার এলাকায় কোন অস্তিত্ব নেই, তারা এলাকায় নির্বাচিত হতে পারবে না, তারাই এখন জাতীয় পার্টিকে নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। এমন অসাধু নেতাদের উদ্দেশ্য কোনদিন সফল হবে না। তাদের মুখোশ খুলে যাবে। জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখান করে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেবে। এদিন আর বেশি দুরে নয়। জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি।