এদেশের শিল্পীরা হয়েছে তৈল মর্দনকারীদের আইকনিক মডেল: আসিফ

নভেল চৌধুরী ♦ দেশের সকল গীতিকার-সুরকার শিল্পীদের উদ্দেশ্যে সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবর তার নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে আসিফ বলেন, এদেশের গীতিকার সুরকার শিল্পীদের উচিত একটা বিষয় নিশ্চিত করা। তাদের ঘোষনা দিতে হবে ভবিষ্যতে আর কখনো রয়্যালিটি ছাড়া এককালীন গান বিক্রি করবেনা। পুরনো গানের রয়্যালিটি উদ্ধারের পাশাপাশি নতুন গানও একই নিয়মে প্রকাশিত হবে। এই ঘোষনা দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের গীতিকবি সুরকার শিল্পী সংঘের নেই। এসব জেনেই বলছি দৌড়াদৌড়ি বন্ধ করে আবারো উটপাখী হয়ে যান আপনারা। সভা সেমিনার ডিজিটাল ননডিজিটাল চৌকিদারীর ফাঁকে ফাঁকে বাস্তবতা উপলদ্ধি করুন।
আমি কেন ঝামেলায় পড়ি বারবার, কেন শুধু আমার সাথেই ক্যাচাল লাগে ! আর সবাইতো ভালই আছে ! এদেশের মানুষ বোবা হয়েছে আরো আগে, আর শিল্পীরা হয়েছে তৈল মর্দনকারীদের আইকনিক মডেল। কোথায় যুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভুমিকা, আর কোথায় স্বাধীন বাংলার বর্তমান প্রজন্মের ভুমিকা। কেউ কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনা পাছে কর্তাদের বিরাগভাজন না হয়ে যায়। তাদের সব খেতে হবে, সব সুবিধা পেতে হবে বিনাযুদ্ধে। ফর্মূলা একটাই - তৈল মর্দন করো বৎসরা।
আমি বোবা না, তাই বন্ধুকেও শত্রু হিসেব স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আমি নপুংসক না, আবার চতুর্থ লিঙ্গের আইটেম হিসেবে সুবিধাভোগীদের দলেও নেই এই এক জীবনে। ঘোষনা আসুক শিল্পীসমাজ থেকে। তারা বলুক আমরা কখনো রয়্যালিটি ছাড়া আর একটি গানও লিখবোনা, সুর করবোনা, গাইবোনা। আফসোস এই ক্ষমতা এই দেশের সেলফিবাজ প্রচারবাজ তৈলবাজ সঙ্গীতকর্মীদের পক্ষে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। আমিই কথা বলবো, মামলা আমার বিরুদ্ধেই হবে আর এটাই আমার অর্জন। সব সেরাগন নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করুন দেশের মানুষের সামনে। অলিগলি আমিও চিনি, সমস্যা হলো ঐ সমস্ত কানাগলির পথিকরা আমার আগুনে আলো সহ্য করার ক্ষমতা রাখেনা, যোগ্যতাও নেই। প্রয়োজনে জ্বলেও যাবো, সঙ্গে জ্বালিয়েও যাবো ইনশাআল্লাহ।