রংপুরে ভাগ্য বদল করা পরিবারকে নিয়ে উন্নয়নের সফলতা উদযাপন

দুই বছর মেয়াদী আল্ট্রাপুওর গ্র্যাজুয়েশন মডেলের মাধ্যমে রংপুর নগরীর ১৬৬টি পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে সংস্থাটি

রংপুরে ভাগ্য বদল করা পরিবারকে নিয়ে উন্নয়নের সফলতা উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার ♦ গবাদী পশু, হাঁস-মুরগি পালন, বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে ভাগ্য বদল করে হত-দরিদ্র থেকে স্বচ্ছল হওয়া পরিবারকে নিয়ে রংপুরে পারিবারিক উন্নয়নের সফলতা উদযাপন অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সদর উপজেলা ভেটেরিনারী হাসপাতাল থেকে একটি আনন্দ র‌্যালী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুল হাই সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সেনোয়ারা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জোবাইদুল কবীর, রংপুর সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রহমত আলী, ওয়ার্ল্ড ভিশন রংপুর এরিয়া কো-অর্ডিনেশন অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার অনুকুল চন্দ্র বর্মন, টেকনিক্যাল প্রোগাম ম্যানেজার রুহুল আমিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। 
বক্তারা বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে গরু, হাঁস-মুরগি পালন, শাক-সবজি উৎপাদন ও ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে উপকারভোগীরা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। হত-দরিদ্র থেকে স্বচ্ছলতার এমন গল্প সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে মানুষ উদ্বুদ্ধ হবে এবং সমাজ উপকৃত হবে। শেষে উপকারভোগীদের মাঝে নারিকেল গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। 
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ভিশনের জীবন ও জীবিকা প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সাল থেকে দুই বছর মেয়াদী আল্ট্রাপুওর গ্র্যাজুয়েশন মডেলের মাধ্যমে রংপুর নগরীর ১৬৬টি পরিবারকে বকনা গরু পালন, বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা, বাড়ির আঙ্গিনায় শাক-সবজি চাষে সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন, আয়-ব্যয়ের হিসাব, সঞ্চয় ব্যবস্থাপনাসহ নিয়মিত বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে উপকারভোগীদের উৎসাহ ও পরামর্শ প্রদান করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন। এ মডেলের মাধ্যমে প্রায় শতভাগ উপকারভোগীর পরিবার অতি-দরিদ্র থেকে স্বচ্ছল হয়েছে।