রংপুরের দুটি আসনে নৌকার ছাড়, আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীতে জাতীয় পার্টির শঙ্কা

উল্টো প্রেক্ষাপট রয়েছে রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরের ৬টি আসনের মধ্যে ১ ও ৩ আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই ২ আসন থেকে নৌকার প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও রংপুর (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি কর্পোরেশন)-১ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশে^র হাসান।

তিনি জানান, রংপুরের ৬টি আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এরমধ্যে রংপুর-১(গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি কর্পোরেশন) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যাডঃ রেজাউল ইসলাম রাজু, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সবুজ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুম আলী। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনা আক্তার ও জাকের পার্টির আশরাফ উজ জামান। রংপুর-৩ (সদর ও সিটি কর্পোরেশন) আসনে আওয়ামী লীগের তুষার কান্তি মন্ডল ও জাকের পার্টির লায়লা আঞ্জুমান। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাকিবুর রহমান। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে জাকের পার্টির শামীম মিয়া ও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির বেদুরুল ইসলাম।

১০ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের ফলে ৬টি আসনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৩৬ জন। যারমধ্যে এরমধ্যে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি কর্পোরেশন) আসনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঁঙ্গাসহ ৯ জন প্রার্থী। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকসহ ৩ জন। রংপুর-৩ (সদর ও সিটি কর্পোরেশন) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ৬ জন। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ ৩ জন। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে ৮ জন এবং রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে স্পীকার ড. শিরীন শারমিনসহ ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে লড়বেন।

অন্যদিকে রংপুরের দুটি আসনে নৌকার প্রার্থী তুলে নিলেও রংপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি ও বিরোর্ধী দলীয় চিফ হুইপ জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গাও লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। ফলে এ আসনটি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে জাতীয় পার্টি। তবে এর উল্টো প্রেক্ষাপট রয়েছে রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে। এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ জাপাকে ছাড় না দিলেও সেখানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রংপুরে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে দুটি আসন ছাড় দিয়ে একটিতে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। তারা কৌশলে নির্বাচন করে ৭ জানুয়ারীর পর আবার ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি এবং চাইছি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা জনগনকে সাথে নিয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করবো দলের প্রার্থীকে জয়ী করে আনতে।