অসংক্রামক রোগের ভুল চিকিৎসা ৯০ ভাগ রোগী’র মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে 

রংপুরে চতুর্থ শ্রেণির মাধ্যমে রোগীদের থেরাপি দেওয়া হচ্ছে

অসংক্রামক রোগের ভুল চিকিৎসা ৯০ ভাগ রোগী’র মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে 

স্টাফ রিপোর্টার ♦ অসংক্রামক ও অস্থিপ্রদাহজনিত রোগের ভ‚ল চিকিৎসায় সর্বশান্ত হওয়াসহ শতকরা ৯০ ভাগ রোগী দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভ‚গে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে দাবী করেছে ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন রংপুর বিভাগীয় কমিটি। স্ট্রোক, ব্যাক পেইন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, পেটের সমস্যা জাতীয় রোগে আক্রান্ত রোগীরা ঔষধ খেয়ে কিংবা কবিরাজি চিকিৎসায় সুস্থ্য না হলে উল্টো রোগকে দীর্ঘস্থায়ী করছে।  রংপুর প্রেসক্লাবে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবসের আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন, ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন রংপুর বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা। সংগঠনের সভাপতি ডাঃ তাশিকুল ইসলাম সোহাগের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাসুদ উর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ রুবেল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক আতাউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ডাঃ মান্নান মিয়া, সদস্য ডাঃ গোলাম মোস্তফা, ডাঃ ওয়াসিফ শাহরিয়ার। 

ডাঃ তাশিকুল ইসলাম সোহাগ জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে স্ট্রোকের রোগী বাড়ছে। তাদের মূলত ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হলেও তারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিংবা কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে করে সুস্থ্য না হয়ে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অর্থপেডিক অপারেশনের পর ব্যাথা, ব্যাক পেইনে কোন ঔষধের প্রয়োজন পড়ে না, অথচ রোগীরা ফিজিওথেরাপিস্টদের কাছে না গিয়ে ঔষধ খেয়ে রোগ নিরাময়ে চেষ্টা করে। এছাড়া বাবা-মায়েদের জীবনধারা পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম না করাসহ প্রসবজনিত জটিলতার কারণে প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে ফিজিওথেরাপি বিভাগকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি বিভাগকে মুছে ফেলে ফিজিও মেডিসিন বিভাগ খোলা হচ্ছে। এতে করে একজন রোগী দেশে ৮ থেকে ১০ জন চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়ার পর ভারতে চিকিৎসা নিয়ে সর্বশান্ত হয়ে দেশে এসে ফিজিওথেরাপিস্টদের স্মরণাপন্ন হচ্ছে। এছাড়া সরকারী হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট না থাকায় চতুর্থ শ্রেণির মাধ্যমে রোগীদের থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে রোগীরা সুস্থ্য না হওয়ায় ফিজিওথেরাপি’র উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে এমবিবিএস ডাক্তাররা ফিজিওথেরাপিস্ট, হারবাল, ফার্মেসীসহ সকল বিভাগ ধরে রাখতে চায়। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের চেষ্টায় রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল গড়ে তুলে ফিজিওথেরাপিসহ ৭টি বিভাগকে এর অর্ন্তভ‚ক্ত করেছে। যা এ পেশার স্বার্থসংরক্ষণ ও উন্নয়নে বড় ভ‚মিকা রাখবে। আলোচনা সভায় সরকারী হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ, গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্টদের বিসিএসের অংশ নেওয়ার সুযোগ, ফিজিওথেরাপিস্ট তৈরীর লক্ষ্যে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় চালু, ফিজিওথেরাপিস্টদের নাম করে হাতুড়ে চিকিৎসকের দৌড়াত্ম বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।###