তারাগঞ্জে ছাগল ঘাস খাওয়ায় মারামারি! পুত্রসহ দম্পতি আহত

তারাগঞ্জে ছাগল ঘাস খাওয়ায় মারামারি! পুত্রসহ দম্পতি আহত

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ♦ তারাগঞ্জে ছাগলের একটি বাচ্চার  ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র  করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুত্র সন্তানসহ এক  দম্পতি গুরুত্বন আহত হয়ে বর্তমানে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বকশিপাড়া গ্রামে মারামারির এ ঘটনাটি ঘটেছে ।
জানাগেছে, ওই দিন মধুরামপুর বকসি পাড়া গ্রামের মমিনুর ইসলাম(৩০) এর চাষাবাদকৃত নেপিয়ার ঘাস খেতে থাকে একই  গ্রামের বাবুল মিয়ার একটি ছাগলের বাচচা। এতে টের পেয়ে মমিনুর ইসলাম ছাগলের ওই বাচ্চাটিকে ধরে এনে বাড়িতে রাখেন। খবর পেয়ে বাবুলের পুত্র শাহিনুর ইসলাম(৩০) ছাগলের বাচ্চাটিকে আনতে মমিনুরের বাড়িতে যান। মমিনুর ইসলাম এসময় শাহিনুরের দেখা পেয়ে গালমন্দ করতে থাকেন। পরে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে মুমিনুল ইসলাম তার হাতে থাকা লাঠি দ্বারা শাহিনুরের মাথায় সজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। খবর পেয়ে শাহিনুরের পিতা বাবুল মিয়া(৫০) ও মাতা সায়মা বেগম(৪৭) পুত্র শাহিনুরকে উদ্ধার করতে মমিনুলের বাড়িতে এসে প্রতিবাদ করলে এসময় মমিনুর ইসলামসহ তার ছোট ভাই মজিবুল ইসলাম (২২), মনিরুজ্জামান (১৮) একত্রিত হয়ে তাদেরকেও মাথায় লাটি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন।

স্থানীয়রা জখমীদের গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই দিনেই ভর্তি করে দেন। তারাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ওই এলাকার বাসিন্দা ডা.আলী হোসেন জানান,  মমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন দুর্দান্ত প্রকৃতির । অসাদাচরণ সহ এলাকায় প্রায় সময় এরা মারামারির ঘটনায়ন লিপ্ত থাকেন। আইন শৃংখলা বাহিনীর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়। মমিনুর ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এর আগে ছাগলের ওই বাচ্চাটিকে তিন দিন স্থানীয় খোয়াড়ে দিয়েছি। তবু ওদের আক্কেল হয়নি। সেদিন ছাগলের বাচ্চাটিকে ধরে বাড়িতে আনলে বাবুল ও তার লোকজন আমার বাড়িতে এসে আমাকেই মারতে উদ্ধুত হয়েছিল, উল্টো ওরাই মার খেয়ে গেছে।

বাবুল জানান, ছাগলের বাচ্চার ঘাস খাওয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুর্ব শত্রæতার জের ধরে মমিনুর ও তার ভাইয়েরা আমাকে এবং আমার স্ত্রী-সন্তানকে লাঠি দ্বারা মারপিট করে গুরুত্বর আহত করেছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাথায় ৭টি সেলাই, স্ত্রীর মাথায় ৫টি সেলাই,এবং সন্তানের মাথায় ৫টি ও ডান হাতের কব্জিতে দুইাট সেলাই প্রদান করেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।