কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের সীমান্ত দিয়ে বেশি আসছে মাদক

গেল ১ বছরে সাড়ে তিন লাখের বেশি ইয়াবা উদ্ধার

কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের সীমান্ত দিয়ে বেশি আসছে মাদক

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বেশি মাদক আসছে। এসব সীমান্ত দিয়ে আসা গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, ইনজেকটিং মাদক দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে চোরাকারবারিরা। গতকাল সোমবার রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে করনীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। কর্মশালা প্রধান অতিথি ছিলে বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান। জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহম্মদ রায়হান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন জানান, গত ২০২২ সালে রংপুর বিভাগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, রেঞ্জ পুলিশ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবের অভিযানে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭১১পিস ইয়াবা, ৩৯ কেজি হেরোইন, ৭ হাজার ৭১৮ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৭০ বোতল ফেন্সিডিল, ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮ পিস টাপেন্ডাডল, ৩৭ হাজার ৬০৯ অ্যাম্পুল ইনজেকশন, ১০ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইনে মামলা হয়েছে ৮ হাজার ১১৫টি। ভারত থেকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে মাদক দেশে প্রবেশ করে সারাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে আসছে গাঁজা ও ফেন্সিডিল এবং দিনাজপুর ও লালমনিরহাটে আসছে ফেন্সিডিল, ইনজেকটিং মাদক।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, মাদক নির্মূলে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে মাদক বিরোধী নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সরকারী উদ্যোগে জেলায় জেলায় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র তৈরী হচ্ছে।

বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে এ কর্মশালায় রংপুরের বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।