মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে ‘চলো স্বপ্ন ছুই’র ঈদ উপহার  বিতরণ

মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে ‘চলো স্বপ্ন ছুই’র ঈদ উপহার  বিতরণ

নভেল চৌধুরী ♦ বেঁচে থাকা যেখানে দায়, ঈদের কেনাকাটা সেখানে বিলাসিতা এটা প্রমাণ করিয়ে দিলেন দুই মানবতার ফেরিওয়ালা জিসান ও তাসিন। মঙ্গলবার (১১মে) লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় অবস্থিত তালিমুনাস দারুল উলুম নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার ৮০ জন ছাত্রের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী  বিতরণ করা হয়।

মোঃ মুহতাসিম আবশাদ জিসান এবং তানজিম আলম তাসিন দুইজনেই শিক্ষার্থী। এর পাশাপাশি তারা পরিচালনা করছেন উত্তরবঙ্গের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চলো স্বপ্ন ছুঁই। করোনার ক্রান্তিলগ্ন থেকে কাজ করে আসছে তারা। এবার ঈদে তারা শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে দুইজনেই উদ্যোগ নেন, তাদের ঈদের কেনাকাটার যেই বাজেটটা সেটা দিয়ে তারা এতিম এই শিশুগুলোর খাবারের ব্যবস্থা করবেন, তাদের মুখে হাসি ফুটাবেন। নিজেদের উপার্জন নেই, কিন্তু ইচ্ছা শক্তি অনেক এই দুই তরুণের। তাদের এই কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে চলো স্বপ্ন ছুঁই লালমনিরহাট জেলার সদস্যরা। আকশ্মিক উপহার পেয়ে খুশি মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীরা।

এব্যাপারে  চলো স্বপ্ন ছুঁই এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ মুহতাসিম আবশাদ জিসান বলেন, করোনার এই সময় আমার সামনে কিছু মানুষ যখন না খেয়ে আছেন তখন ঈদের কাপড় চোপড় কেনা আমার কাছে অধিক বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু না। গত বছরেও আমি আমার পরিবারের ঈদের কেনাকাটার বাজেট অসহায় মানুষের জন্য দিয়েছিলাম।  এবার এই মাদ্রাসাটার বাচ্চাগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে এরকম একটা উদ্যোগ নিয়েছি।

চলো স্বপ্ন ছুঁই এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তানজিম আলম তাসিন বলেন এই মহাদূর্যোগের মূহুর্তে বাজারে গিয়ে  শপিং করা নরকে ঝাপ দেওয়ার সমতুল্য। এই সামান্য ক টা টাকায় হাসি ফোটাতে পারে ছিন্নমূল মানুষের মুখে। তাই একজন সামাজিক প্রানী হয়ে  নিজের মানবিক দিক  ও কর্তব্যবোধ জায়গা থেকে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যদি সমাজের বিত্তবান মানুষরা আমাদের পাশে দাড়ায় তাহলে আমরা আরো বেশী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারব"।