প্রচণ্ড শীত রংপুরে, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রোগী বাড়ছে

আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হচ্ছে লোকজন

প্রচণ্ড শীত রংপুরে, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রোগী বাড়ছে

নভেল চৌধুরী ♦ প্রচণ্ড শীত। ঘন কুয়াশা। মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ। রংপুরে জন-জীবন বিপর্যস্ত। প্রায় প্রতিদিনই সকাল ১০টার আগে রোদের মুখ দেখে না রংপুরবাসী। হাড় কাঁপানো এই শীত থেকে বাঁচতে কর্মস্থল থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরায় রংপুর শহর যেন এখন জমে না তেমন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন গ্রামীন এলাকার মানুষজন। আর তাতেই যেন জিবনশঙ্কায় পড়েন তারা। বেখেয়ালীপনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ১৪ শয্যার বার্ণ ইউনিটের আওতায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৯ জন রোগী। শয্যার অভাবে কম অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালের অন্য ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।   
হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। খরকুটো আগুন জ্বেলে শীত নিবারণ করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে রোববার পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। এছাড়া নানা ভাবে পুড়ে যাওয়া রোগী মিলে বর্তমানে ২৯ জন রোগী  চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে নতুন করে ৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। 
বার্ণ ইউনিটের প্রধান ডাঃ এমএ হামিদ পলাশ বলেন, শীত আসলে ইউনিটের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। আমরা বেশি অগ্নিদগ্ধ রোগীকে বার্ণ ইউনিটে এবং তুলনামূলক কম অগ্নিদগ্ধদের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছি। আমার ইউনিটে শয্যা সংকট, চিকিৎসক সংকট, ঔষধ সংকট রয়েছে। তাই আমরা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। 
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রোববার (৮ জানুয়ারী) রংপুর বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়া রংপুরে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রী, ডিমলায় ১০ ডিগ্রী, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী এবং দিনাজপুরে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, রংপুর বিভাগে মৃদ্যু শৈত প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা কিছুদিন চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।