রমেক হাসপাতালে রোগ নির্ণায়ক একাধিক মেশিন নষ্ট, ভোগান্তিতে রোগীরা

রমেক হাসপাতালে রোগ নির্ণায়ক একাধিক মেশিন নষ্ট, ভোগান্তিতে রোগীরা
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

নভেল চৌধুরী ♦ একে তো করোনা আতঙ্ক আর অন্যদিকে রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অচল থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।   চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা পেতে ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলোতে যেতে পারছেন না নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা। 
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এনজিও গ্রাম, ডিজিটাল এক্স রে মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন, কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস মেশিন, অপারেশনের যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত করন মেশিনসহ বিভিন্ন মেশিন নষ্ট হয়ে পরে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কবে নাগাদ এসব মেশিনপত্র ভালো হবে তা সঠিক কেউই বলতে পারছে না।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, হাসপাতালের অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল এক্স রে মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে প্রকৌশলীরা এসে কিডনি বিভাগের মেশিনগুলো পরিক্ষা করে দেখবেন। আশা করছি এই সংকট আর থাকবে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস বিভাগটি প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে কিডনি  রোগীরা ডায়ালাইসিস করতে পারছেন এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা। ডায়ালাইসিস করতে না পারায় ২০ দিনে ১৮ দরিদ্র রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিডনি ওয়ার্ডের এক সেবিকা জানান,ডায়ালাইসিসের পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট এবং বেশ কয়েকটি ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সাত লাখ টাকা খরচ করলে দুটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট বসানো সম্ভব। ডায়ালাইসিস বিভাগ থেকে প্রতি মাসে আয় প্রায় চার লাখ টাকারও বেশি। ৮ এপ্রিল থেকে ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে ওয়ার্ডটি এখন রোগী শূন্য অবস্থায় পরে আছে।  রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি ওয়ার্ডের ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান জানান, এই ওয়ার্ডে ডায়ালাইসিস মেশিন আগে ছিল ৩০টি, এখন ১৮টিতে দাঁড়িয়েছে। বাকিগুলো বিকল হয়ে পড়ে আছে। অন্যদিকে রিভার্স অসমোসিস (পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন) রয়েছে দুটি, আর দুটিই নষ্ট হয়ে পড়ার কারণে কিডনি ওয়ার্ডের কোনও রোগী সেবা পাচ্ছেন না। 
হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আনিসুজ্জামান জানান, মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ডায়ালাইসিস করা যাচ্ছে না। রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে না।