রিমু হত্যার বিচার দাবি, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ছাত্রসমাজের

রিমু হত্যার বিচার দাবি, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ছাত্রসমাজের
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রংপুরে প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

স্টাফ রিপোর্টার ♦ কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবাইয়া ইয়াসমিন রিমুর মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকান্ড হিসেবে দাবি করে এর সাথে জড়িতদের বিচার চেয়েছেন জাতীয় ছাত্রসমাজ। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন সংগঠনটির ছাত্রনেতারা। 
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রংপুরে প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সোবাহান মজিদ বিদ্যুৎ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব শফিউল ইসলাম সৈকত, যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আল-আমিন সুমন, মুহিন সরকার প্রমুখ।

আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিমু হত্যার ঘটনায় জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, রিমুর পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি। অথচ হত্যাকারীকে কলেজছাত্রী রিমুকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে গিয়ে জলঢাকায় পরিকল্পিত ভাবে মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় রিমুর।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে নীলফামারী সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের তালুক মানুষমারা গ্রামের বাড়ি থেকে কোচিং সেন্টারে টিউশন করাতে বের হন রুবাইয়া ইয়াসমিন রিমু। সেদিন কোচিং সেন্টারে না গিয়ে বন্ধু ফয়সালের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে জলঢাকাতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুত্বও আহত হন। পরে আহত অবস্থায় রিমুকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রিমুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মারা যান। এ ঘটনায় জলঢাকা থানায় ফয়সালও তার বন্ধু রিজভীকে আসামি করে রিমুর বাবা আবদুর রাজ্জাক একটি মামলা দায়ের করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় রিমু গ্রামের বাড়ি নীলফামারীতে ছিলেন।