ভাল নেই গাইবান্ধার মৃৎ শিল্পীরা।

ভাল নেই গাইবান্ধার মৃৎ শিল্পীরা।

মোঃরিফাতুন্নবী রিফাত ♦ ভালো নেই গাইবান্ধার মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত কারিগররাভালোবাসা মমতা দিয়ে নিপুণ হাতের কারু কাজের মাধ্যমে মাটি দিয়ে শিল্পীরা তৈরি করে থাকেন নানান তৈজসপত্রতাদের জীবন-জীবিকার হাতিয়ার হচ্ছে মাটিকিন্তু কালের বিবর্তনে তাদের ভালোবাসার জীবিকা বিলুপ্তি হতে চলেছেদিন যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে আধুনিকতার ছোঁয়া, চাহিদা হারাচ্ছে মাটির তৈরি শিল্পপণ্য

একসময় মাটির তৈরি তৈজসপত্রের প্রচুর চাহিদা ছিল। কিন্তু এখন মাটির তৈরি তৈজসপত্রের চাহিদা হারিয়ে স্থান দখল করে নিয়েছে এ্যালুমিনিয়াম প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যএসবের দাম বেশিহলেও টেকসই হওয়ায় সবাই ঝুঁকছে সেই দিকেইআর তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে অনেকেই ছেড়ে দিচ্ছে বাপ-দাদার ধরে রাখা এই পেশা একসময় গাইবান্ধার ৭টি উপজেলায় পেশার সাথে থাকা সকলের দিন কাটতো বেশ সুখেকিন্তু এখন হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার ছাড়া কারও সেভাবে পেশায় ভাত জুটছে না

গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের পালপাড়ায় কয়েকটি পরিবার সরাসরি মৃৎ শিল্পের ওপর নির্ভরশীলএই পাড়ায় পুমার-কুমারী দিন-রাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মাটি দিয়ে তৈরি করছেন বিভিন্ন মৃৎ শিল্প পণ্যতবে সময় অনুযায়ী তারা ন্যার্য মূল্য পাচ্ছেন না বলে জানান তারা 

সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুমাররা মাটি দিয়ে তৈরি করছেন,বিভিন্ন রকমের ফুলের টব,পুতুল,ল্যাট্রিনের স্লাব,কুয়ারপাত,হাড়ি,পাতিলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসাহাপাড়া পালপাড়ার শ্রী তপন পাল জানান,তার বাবা প্রায় ৪যুগ ধরে এপেশার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে আর টিকে থাকতে পারছেন না                                                                                                              

পেশার সাথে দীর্ঘ দিন জড়িত থাকা বিমল পাল জনান,১টলি মাটির দাম ১০০০টাকাযা দিয়ে ১০০পাঁতিল তৈরি করা যায়আর ১০০পাঁতিল পোড়াতে প্রায় ১২০০টাকার খড়ি লাগেতাই বাজার-জাত মূল্যের সাথে টিকে থাকতে না পাড়ায় অনেকেই আর পেশায় কাজ করতে আগ্রহ