বেরোবি ভিসিকে নিজ ক্যাম্পাসে  আমন্ত্রণ জানালো অধিকার সুরক্ষা পরিষদ 

বেরোবি ভিসিকে নিজ ক্যাম্পাসে  আমন্ত্রণ জানালো অধিকার সুরক্ষা পরিষদ 
রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ এর আয়োজনে মানববন্ধন সমাবেশে উপাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বেরোবি প্রতিনিধি ♦ নিজ ক্যাম্পাসেই আমন্ত্রণ জানালো হলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে। রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ এর আয়োজনে মানববন্ধন সমাবেশে উপাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

মানববন্ধনে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ড. মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সেকশন অফিসার  ফিরাজ আল মামুন, কর্মচারী মাহবুবুর রহমান। 

মানবন্ধনে সকলেই উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে আসার আমন্ত্রণ জানান। ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে উপাচার্য ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকলে তা নাও ঘটতে পারত এমনকি তিনি উপস্থিত থাকলে এগুলোর একটি সুষ্ঠু সমাধান হতে পারতো বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, উপাচার্য কাম্পাসে না আসা পর্যন্ত তার দপ্তর বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত রাখার জন্য তিনি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তিদের দৃষ্টি দেওয়ারও আহ্বান জানান বক্তারা। তারা বলেন, উপাচার্য ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকার কারণে সমস্ত শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তিনি উপস্থিত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম কিছুটা হলেও গতি পেত। মানববন্ধন শেষে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কমচারীরা রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্য ক্যাম্পাসে না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। 

এদিকে রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় মানববন্ধন সমাবেশ করেছে ২৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান তুহিন, ছাত্রলীগ নেতা শেখ আসিফসহ অন্যরা। বক্তারা, অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তির দাবী জানান। দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবারও ঘোষনা দেন তারা।