পুলিশ উপস্থিতিতে বাদী কর্তৃক বিবাদীকে মারপিট ও বাড়ি ভাংচুর

পুলিশ উপস্থিতিতে বাদী কর্তৃক বিবাদীকে মারপিট ও বাড়ি ভাংচুর

মোঃ আরমান হোসেন ♦ দিনাজপুরের বিরলে জমি-জমা সংক্রান্ত থানায় অভিযোগ দিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রভাবশালী বাদী কর্তৃক বিবাদীকে মারপিট করে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে ঘটনায় স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত দুই পুলিশ সদস্য পুলিশের ব্যবহৃত একটি মটর সাইকেল আটক করে দিলে ঘটনার প্রায় ঘন্টা পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় উত্তেজিত জনতাকে লিখিত দিয়ে  আটক পুলিশ সদস্য মটর সাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে

গত রোববার বিকালে উপজেলার ১১ নং পলাশবাড়ী ইউপি ভুতিগাঁও গ্রামে অভিযোগের বাদী কমর উদ্দীন ও আঃ আজিজ এর নেতৃত্বে ১১ থেকে ১২ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল পুলিশের উপস্থিতিতে বিবাদী রয়েল হোসেনকে মারপিট করে বসতবাড়ি ভাংচুর করলে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার এলাকাবাসী

বাড়ীর মালিক বিবাদী রয়েল হোসেন (৩৫) দিনাজপুর এমএআর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে

জানা গেছে, বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ভুতিগাঁও গ্রামের মৃত চেন্দু মোহাম্মদের স্ত্রী পমিরন্নেছা সিএস, এসএ রেকডর্ীয় মালিকের ওয়ারিশসুত্রে মৃত এমাজ উদ্দীনের ছেলে ফয়জুর রহমান ৪০ দাগের সাড়ে ২৬ শতক জমি ২৭৬ নং খারিজমুলে ভোগ দখল করে আসছিল ফয়জুর রহমান একই এলাকার মৃত আজহারুল এর ছেলে রয়েল হোসেনের কাছে শতক জমি বিগত বছরপুর্বে বিক্রি করেন ওই জমিতে রয়েল বসতবাড়ী নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে একই ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মৃত আঃ জলিলের ছেলে কমর উদ্দীন আব্দুল আজিজ ওই জমি তাদের বলে দাবি করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী আনুমানিক বিকেল টার দিকে কমর উদ্দীন আজিজ এর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের

দুর্বৃত্তের একটি দল পুলিশের উপস্থিতিতে রয়েল হোসেনের বসতবাড়ী ভাংচুর করে অন্যান্য আসবাবপত্র ঘরের বাইরে ফেলে দেয় সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলেও উত্তেজিত জনতা পুলিশকে আটক করে পরবতর্ীতে পুলিশ লিখিত দিয়ে জনতার রোষানল থেকে রক্ষা পায়

এব্যাপারে বিরল থানার এসআই অষ্বনী কুমার রায় এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশনায় আমি সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছি এসময় অভিযোগের বাদীপক্ষ তার লোকজন নিয়ে বিবাদী রয়েলের বাড়ীর জিনিসপত্র ভাচুর করলে গ্রামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এপর্যায় মহিলারা পুলিশকে অযথা দোষারোপ করে আমার মটর সাইকেলের চাবিটি নিয়ে নেয় আমি বিষয়টি উর্দ্বোত্বন কতৃপক্ষকে জানলে আরোও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় ইউপি সদস্য এলাকার গন্য-মান্য ব্যাক্তিদের সামনে মহিলারা আমার মটর সাইকেলের চাবিটি ফেরত দিলে চাবী পাওয়ায় আমি একটি লিখিত স্বীকারোক্তি প্রদান করি তবে ঘটনার বিষয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে