গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরে বোরো ধান চাষ: বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি

গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরে বোরো ধান চাষ: বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি ♦ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর ধারে জেগে ওঠা চরের উর্বর পলিমাটিতে  বোরো ধান চাষ করছেন তিস্তাপারের কৃষকরা। এরই মধ্যে ধান গাছ থেকে শীষ বেরুতে শুরু করেছে। সবুজ ধান গাছে ভরে উঠেছে তিস্তার ধার।  অল্প পরিশ্রম ও খরচে ধান গাছে সোনালী ধানের হাতছানি দেখে চাষীদের মুখে হাসি ফুটছে।
উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের কৃষক ইলিয়াস হোসেন পটু (৬৫), দুদু মিয়া (২৮) জানান, তিস্তার ধারে জেগে ওঠা চরের উর্বর পলিমাটিতে তিস্তাপারের বেশ কিছু কৃষক বোরো ধানের চাষ করছেন। তারা দুজনে চলতি বছর প্রায় ৪ একর  তিস্তার ধারে জেগে ওঠা চরের উর্বর পলিমাটিতে বোরো ধানের চাষ করছেন। 
তারা বলেন, পৌষ মাসের প্রথম দিকে বীজ তলায় চারা গাছ তৈরীর পর চারা গাছের বয়স ২৫-৩০ দিন হলেই তা তুলে নিয়ে হাল চাষ ছাড়াই চরের উর্বর পলিমাটির চরে রোপন করা হয়। নদীর পানি নিকটে হওয়ায় হাত সেঁচ দিয়ে ধান গাছ বড় হতে থাকে। এছাড়া এ আবাদে অধিক কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয়না। চৈত্র মাসে নদীতে পানি আসার আগেই বোরো ধান কর্তন করা যায় বলে জানান একাধিক কৃষক।
লক্ষীটারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর ইসলাম রব্বানী বলেন, চরাঞ্চলে বোরো ধান চাষ করা চাষীদের সরকারি সহায়তা দেয়া হলে তারা উৎসাহিত হয়ে আরও বেশী বোরো ধান চাষ করবেন। তিনি এসব চাষীদের সরকারি সহায়তা দেয়ার দাবি জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল আলম বলেন,  তিস্তার জেগে ওঠা পলিমাটির চরে চলতি বছর ব্যাপক বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এ উপজেলার চরাঞ্চলের চাষীরা অনেক পরিশ্রমী। তারা আমাদের পরামর্শক্রমে চরের পলিমাটিতে  বোরো ধান চাষ করে চালের অভাব অনেকাংশে দূর করেন।